সুপ্রিয় দর্শকমন্ডলী আশা করি মহান আললাহ রাব্বল আলামিনের অশেষ মেহেরবানীও দয়ায় আপনারা সবাই ভালাে আছেন।
প্রিয় দর্শক আজকে আমরা আলােচনা করব জাহান্নামীদের ৭ ধরনের খাদ্য নিয়ে।
আমরা কেউ জাহান্নামে যেতে চাইনা । সবাই রাম্বুল আলামিনের দরবারে জাহান্নাম থেকে মুক্তি পেতে প্রার্থনা করি। রাসূল সা: বলেন, অন্তর থেকে কেউ যদি বলে, হে আল্লাহ আমি | জাহান্নাম থেকে মুক্তি চাই। তিনবার বলার পরে তার জন্য জাহান্নাম হারাম হয়ে যায়।
আমরা আজ যা যা জানতে পারবো :..................!
- জাহান্নামের শাস্তি হাদিস,
- জাহান্নামের আগুনের ছবি,
- জাহান্নাম থেকে মুক্তির দোয়া,
- জাহান্নামের আগুনের রং কি,
- জাহান্নাম কোথায়,
- জাহান্নামীদের খাবার,
- জাহান্নামের আজাব,
- জান্নাত জাহান্নাম,
- জাহান্নামের খাদ্যের নাম কী,
- যাক্কুম শব্দের অর্থ,
- যাক্কুম ফলের ছবি,
- জাহান্নামের আগুনের দহন ক্ষমতা দুনিয়ার আগুনের চেয়ে কত গুণক্ষমতা সম্পন্ন?,
- যাক্কুম বৃক্ষ ,
প্রিয় দর্শক আমরা প্রতিনিয়ত সালাত শেষে আমরা আল্লাহর কাছে জাহান্নাম থেকে পানাহ চাইবাে । সুতরাং আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন ।
কারণ জাহান্নামের খাদ্য সম্পর্কে যদি আপনি জানেন তবেই আপনি জাহান্নাম থেকে মুক্তি
পাওয়ার প্রয়ােজনীয়তাটা অন্তরে এবং কলবে অনুভব করবেন এবং গুনাহ থেকে দূরে থাকতে পারবেন।
যারা আল্লাহর বিধান কে অমান্য করেছে যারা আললাহকে অস্বীকার করেছে তাদের শাস্তি প্রদান করার জন্যই এই জাহান্নামের সৃষ্টি । জাহান্নামীদের খাদ্য ও পানি সবই হবে জাহান্নামীদের শাস্তির অংশ জাহান্নাম সব সময় চলমান । কখনাে দুর্বল হবে না কখনাে জাহান্নামের আগুন নিববে না এর অধিবাসীদের।
আজাব স্থায়ী তারা সেখান থেকে সাহায্য চাইবে কিন্তু সাহায্য কারী থাকবে না। জাহান্নামীরা আযাবের চোটে চিৎকার করবে। কাঁদবে এবং খাবার ও পানি চাইবে। তখন তাদের সামনে এমন খাবার উপস্থিত করা হবে যার কারণে তাদের আজাব আরাে বেড়ে যাবে| তাদেরকে যন্ত্রণাদায়ক খাবার প্রদান করা হবে।
পবিত্র আল কুরআনে আল্লাহ তাআলা জাহান্নামীদের ৭ ধরনের খাবারের কথা উল্লেখ করেছেন আসুন আমরা জেনে নেই এসব ধরনের খাবার কি কি ও কিভাবে খাওয়ানাে হবে।
- ১, হামিম| ।
হামিম হলাে জাহান্নামের আগুনের ফুটানাে গরম পানি। এই পানি পান করার পর পেটের ভেতরের সবকিছু গলে যাবে। পেটের ভেতর সবকিছু গলে তরল পানির মত পড়ে যাবে। এই প্রসঙ্গে আল্লাহ তা'আলা বলেন, এবং যাদের পান করতে দেওয়া হবে ফুটন্ত হামিম পানি। যা তাদের নাড়িভুড়ি'ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করে দিৱে। (সূরা মুহাম্মদ আয়াত নং ১৫)
- ২. সন্সক |
গজা কিচে অধিক ঠাভী পালি ঘভিৱিষ্ঠা ভরিষ্কারা জেপণি গিল। এই মার্জেন্সিলাহিরাব্বল আলামীন জোন, এই হচ্ছেই মিজাও লজ্জাক আতঃপর ভারী একেখিদিনকক| সূেরী সাদিয়াতি৫৭)
পরকালে কাফেরদের স্থায়ী ঠিকানা হরে জাহান্নাম, অনন্তকাল জ্বলতে থাকবে । তাদের দেহ থেকে গােস্ত ও চামড়া গলিত হয়ে গড়িয়ে পড়বে। টা ত্মত্যন্তদূর্গন্ধ ও ঘন হৱে। এই দুর্গন্ধময় পুচকে দিব হয় এটি হবে জাহান্নামীদের খাবার।
- ৩, সদি।
পরকালে কাফেরদের স্থায়ী ঠিকানাহবে জাহান্নাম|এতে তারা অনন্ত কাল জ্বলতে থাকবে। তাদের দেহ থেকে গােস্ত ও চামড়া গলিত হয়ে গড়িয়ে পড়বে|সেটা অত্যন্ত দুর্গন্ধ ও ঘন হবে| ' এই দুর্গন্ধময় পুচকে সদিদ বলা হয়| এটি হবে জাহান্নামীদের খাবার।
এ প্রসঙ্গে আল্লাহ রাব্বল আলামীন বলেন, তাদের প্রত্যেকের জন্য পরিণামে জাহান্নাম রয়েছে এবং পান করানাে হবে গলিত পুঁজ যা তারা খাওয়ার পরে মৃত যন্ত্রণা অনুভব করবে। কিন্তু তাদের মুত্য ঘটবে না এবং এরপর কঠোর শাস্তি ভােগ করতে হবে| . ..। (সূরা ইব্রাহীম আয়াত ০ থেকে ১৭)
- ৪, গাদের মত পানি ।
জাহান্নামীরা আজাব ভােগ করতে করতে তৃষ্ণার্ত হয়ে পড়বে। তারা তখন পানি চাইবে তখন তাদেরকে গাদের মত পানি দেওয়া হবে। তা পান করার মাত্রই মুখমণ্ডল ঝলসে যাবে। এই পানি জাহান্নামীদের বাধ্য করা হবে খাওয়ার জন্য।
এই প্রসঙ্গে আল্লাহ তা'আলা বলেন, আমি যালেমদের জন্যে প্রস্তুত রেখেছি অগ্নি। যার বেষ্টনী তাদের পরিবেষ্টন করে রাখবে। তারা পানি চাইলে তাদের দেওয়া হবে গলিত ধাতুর পানি । যা তাদের মুখমন্ডল দগ্ধ করবে। এটা নিকৃষ্ট পানীয়। আর জাহান্নাম কত নিকৃষ্ট আশ্রয় (সূরা কাহফ আয়াত ২৯)
- ৫, দড়ি ।
এইমর্মে আল্লাহতাআলা বলেন, দড়ি'অর্থাৎকাটার জাল ছাড়া তাদের অন্য কোন খাদ্য নেই। টি তাদের ফ্লাটা তাজা করবেন|। এবং ক্ষুধা নিবারণের কাজে আসবে না। (সূরা গাশিয়া আয়াতঙর্থকে৭)
- ৬,গিসলিন| |
দোযখীদের থেকে প্রবাহিত রক্তও পুঁচে রন্স মষ্টিকে বলা হয় গিসলি । এটি হবে দোযখীদের নিকৃষ্ট খাবার এই ধরনের পচা খাবার তারা জাহান্নামীরা ক্ষুধা মিটাতে চাইলেও ক্ষুধা এইখাবার খেয়ে তাদের খুদা মিটবে না কারন এটি হবে মূলত জাহান্নামীদের রক্ত ও পুঁজের সমষ্টি।
এ প্রসঙ্গে পবিত্র কুরআনে সূরা হাক্কার ৩৫ থেকে ৩৭ আয়াতে রাব্বল আলামিন বলেন, | অতএব আজকের দিনে তার এখানে কোন সুরীদ তথা সুপেয় পানি নেই আর নেই কোন খাদ্য তাদের জন্য রয়েছে গিসলিন। অপরাধী ছাড়া কেউই সে খাদ্য খাবে না।
- ৭. যাকুম।
যাকুম এক ধরনের বিষধর বৃক্ষের ফল। যা জাহান্নামের তলদেশে উৎপন্ন হয়। এই ফল অত্যন্ত ভয়ঙ্কর এর দ্বারা জাহান্নামীদের শারীরিক কোনাে ফায়দা হবে না বরং জাকুম ফল খাওয়া জাহান্নানীর শারীরিক যন্ত্রণা আরও বেড়ে যাবো।
এই মর্মে আল্লাহ তাআলা বলেন, নিশ্চয়ই যাকুম গাছ পাখির খাদ্য হবে। গলিত তামার মতাে পেটে ফুটতে থাকবে| যেরকম পানি পাতিলের মধ্যে ফুটতে থাকে। (সুরা দুখান আয়াত ৪৩ থেকে ৫০)
আললাহ আমাদের সকলকে জাহান্নাম এর আগুন থেকে সবাইকে মাফ করে দিন আমাদের সবাইকে জান্নাতুন সিব করুন।
" আমিন]