টানা এক সপ্তাহ ছোলা বুট খেলে কি হয়? জানলে আজকেই খাওয়া শুরু করবেন। ছোলা পুষ্টিকর ডাল জাতীয় একটি শস্য দানা। এটি মলিবের নাম এবং ম্যাঙ্গানিজের চমৎকার উৎস। ছোলাতে প্রচুর পরিমাণে খাদ্যাস থাকে।
এছাড়াও ছোলায় আছে বিভিন্ন প্রকার ভিটামিন, খনিজ লবণ, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, আমিষ, কপার এবং আইরন। সকালে কাঁচা, সেদ্ধ বা তরকারি রান্না করেও খাওয়া যায় ছোলা। রাতে কাঁচা ছোলা ভিজিয়ে, খোসা চারি কাঁচা আদার সঙ্গে খেলে শরীরে একসঙ্গে আমিষ ও অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়া যাবে। যৌন শক্তি বাড়াতে এর ভূমিকা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।
- খালি পেটে কাঁচা ছোলা খাওয়ার উপকারিতা,
- কাঁচা ছোলা খেলে কি হয়,
- সকালে কাঁচা ছোলা খাওয়ার উপকারিতা,
- কাঁচা ছোলা খাওয়ার অপকারিতা,
- কাঁচা ছোলার উপকারিতা ও অপকারিতা,
- কাঁচা ছোলা খেলে কি মোটা হওয়া যায়,
রাতে ছোলা ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে প্রতিদিন খেলে যৌন শক্তি বাড়বে। ছোলায় থাকা আমিষ মানব দেহ শক্তিশালী ও স্বাস্থ্যবান করতে সাহায্য করে। আর এতে থাকা অ্যান্টিবায়োটিক যেকোনো ওষুধের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। পরিমান পুষ্টিকর খাবার বলেই যে ইচ্ছেমতো খাওয়া যাবে তা কিন্তু নয়। এক কাপ ছোলা খাবেন এর বেশি নয়। এক কাপ ছোলায় থাকে দশ থেকে পনেরো গ্রাম প্রোটিন। নয় থেকে বারো গ্রাম ভোজ্য আশ
চৌত্রিশ থেকে পাঁচচল্লিশ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট। তাই পরিমান মতো খেতে হবে।
সতর্কতা যাদের কিডনির সমস্যা রয়েছে তাঁরা ছোলা একেবারেই খাবেন না। অনেকেই দেখা যায় ছোলা না ভিজিয়ে দুরুত সিদ্ধ করে খেতে। যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। মনে রাখবেন, ছোলাকে অবশ্যই সারারাত ভিজিয়ে রাখতে হবে। অথবা সেটি সম্ভব না হলে অন্তত ছয় ঘন্টা ছোলা ভিজিয়ে রাখতে হবে।
তবে ভেজানো ছোলা এবং এর পানি দুটি আপনার জন্য উপকারী। এছাড়াও ছোলা বুট খেলে আরো ছয়টি রোগ ভালো হবে। তা হল নম্বর এক.দ, কফ ভালো হয়। শ্বাসনালীতে জমে থাকা পুরনো কাশি বা কফ ভালো হওয়ার জন্য কাজ করে। শুকনা ছোলা ভাজা ছোলার শাকও শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী। প্রচুর পরিমাণে diatory fiber বা আশ্রয়ছে এই ছোলা ও ছোলার শাকে। ডায়াটারি ফাইবার খাবারে অবস্থিত পাতলা আঁশ। যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
নম্বর দুই, অস্থির ভাব দূর হয়। ছলায় শর্করার গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের পরিমাণ কম থাকায় শরীরে প্রবেশ করার পর অস্থির ভাব দূর হয়।
নম্বর তিন, খাদ্যনালী ভালো রাখে। ছোলা, খাদ্যনালীতে ক্ষতিকর জীবাণু দূর করে ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা কমায়। এছাড়া ছোলার শর্করা গ্লুকোজ হয়ে দ্রুত রক্তে যায় ন। . তাই ডায়বেটিস রোগীর জন্য ছোলা খুবই উপকারী খাবার।
নম্বর চার, রক্তের চর্বি কমায়. ছোলার ফ্যাটের বেশিরভাগই পলি আন, সেচুয়েটেড. এই ফ্যাট শরীরের জন্য মোটেই ক্ষতিকর নয়। বরং রক্তের চর্বি কমায়। কাঁচা ছোলা ভিজিয়ে, কাঁচা আদার সঙ্গে খেলে শরীরে আমিষ ও অ্যান্টিবায়োটিক এর চাহিদা পূরণ হয়।
নম্বর পাঁচ, স্বাস্থ্যবান বানায়. আমিষ মানুষকে শক্তিশালী ও স্বাস্থ্যবান বানায় এবং অ্যান্টিবায়োটিক যে কোন ওষুধের জন্য প্রতিরোধ গড়ে তোলে। ছোলা খাওয়ার পর বেশ অল্প হজম হয়। এছাড়া গ্রাম্য অঞ্চলে ছোলাকে গুঁড়ো করে এই ছাতু ব্যবহার করা হয়। যাদের ওজন বাড়ানো প্রয়োজন তারা এই ছোলার ছাতু খেতে পারেন।
নম্বর ছয়, হৃদপিণ্ডের রোগ সারায়। অস্ট্রেলিয়ান গবেষকরা দেখিয়েছেন যে খাবারের ছোলা যুক্ত করলে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমান কমে যায়। ছোলাতে দ্রবণীয় এবং অদ্রবণীয় উভয় ধরনের খাদ্যাস আছে। যা হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমিয়ে দেয়।