ছাত্র আন্দোলন - সত্যি কাদালো বিশ্বকে। Rj Tech 360.

ছাত্র  আন্দোলনের রেস যে কত দূর যেতে পারে সেটাই দেখিয়েছে  বাংলাদেশের ছাত্ররা।   কোটা বিরোধী আন্দোলন পৌঁছে গেছে আন্তর্জাতিক স্তরে, কোাটা নয়,  চাকরি দিতে হবে মেধার ভিত্তিতে, এটাই দাবি রেখেছিল বাংলাদেশের ছাত্ররা ।  আর তাতেই ঝরেছে বনু প্রাণ,  সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি সূত্রের খবর অন্তত একশো-তষট্রি জন ছাত্র  প্রাণ হারিয়েছে।  এই সংঘর্ষে, আহতের সংখ্যা ও হাজার তিনেকের বেশি,। 

ছাত্র আন্দোলন ২০২৪

তেমন অশ্নিগর্ভ পরিস্থিতি স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম। বন্ধ  রয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা, যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন, যা সরাসরি  প্রভাব পড়ছে ভারত বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কেও।  সুপ্রিম কোর্ট  রায় তাে শুনিয়েছে, এরপর হয়তা বা দেশের পরিস্থিতিও একদিন  স্বাভাবিক হয়ে যাবে।  কিন্তু তারপর কি করবে বাংলাদেশ? 

আজকের আলোচনা : 

  • ছাত্র আন্দোলন ২০২৪। 
  • ছাত্র আন্দোলন ১৯৬২।
  • বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাস pdf। 
  • কোটা আন্দোলন। 
  • ছাত্র আন্দোলন কত সালে হয়। 
  • ছাত্র আন্দোলন ২০১৮ ই।
  • সলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ। 

আন্তর্জাতিক  পর্যায়ে বাংলাদেশের ইমেজটা কোথায় যাবে এরপর? এক কথায় বলতে  গেলে এই আন্দোলনের অনেকটাই প্রভাব পড়বে ভারত ও বাংলাদেশে।   তবে বাংলাদেশের শীর্ষ আদালত স্পষ্টই জানিয়েছে যে তারা ছাত্রদের  পক্ষেই।  গত রবিবারই সুপ্রিম শুনানি শুনিয়েছে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট।   শীর্ষ আদালত বহাল রখেছে ছাত্রদের দাবি, স্পষ্টই জানিয়ে দিয়েছে  সরকারি চাকরিতে মেধায় শেষ কথা।  পুরো তিরানব্বই শতাংশ বরাদ্দ করা  হয়েছে মেধার জন্য।  


অর্থাৎ এবার যোগ্যতা থাকলে চাকরি মিলবে  বাংলাদেশে।  তাই বলে যে কোটা একেবারেই উঠে যাচ্ছে তা কিন্তু নয়, কোঠা  থাকছে. তবে আগের মতো তিরিশ শতাংশ নয়।  বরং মুক্তি যোদ্ধাদের জন্য  সংরক্ষণ করা হয়েছে পাঁচ শতাংশ আসন।  এছাড়াও অনগ্রসের শ্রেণীর  মানুষ পাবেন এক শতাংশ সংরক্ষণের সুবিধা এবং বাকি এক শতাংশ  কোটার সুবিধা পাবেন প্রতিবন্ধী, এবং তৃতীয় লিঙ্গের নাগরিকরা।  


কিন্তু  প্রশ্ন  হচ্ছে এই পরিস্থিতি তৈরি হল কেন? একটা ছোট আান্দোলন এতো  ভয়াবহ রূপ ধারণ করলো কেন? কোথা থেকে শুরু হয়েছিল এই  আন্দোলন? এটা বুঝতে গেলে একটু অতীতে ফিরে যেতে হবে আমাদের। শুরুটা হয়েছিল দুহাজার আঠেরো সালে,  তার আগে ছাপান্ন শতাংশ  সংরক্ষণের কথা বলা ছিল বাংলাদেশের সংবিধানে, তার মধ্যে তিরিশ  শতাংশ সংরক্ষণ ছিল কেবল মুক্তি যোদ্ধাদের জন্যই।  এছাড়াও দশ  শতাংশ বরাদ্দ ছিল নারীদের খাতে, এবং পিছিয়ে পড়া জন্জাতির জন্য  বরাদ্দ ছিল দশ শতাংশ আসন।  পাশাপাশি জনজাতির জন্য পাঁচ শতাংশে  এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য বরাদ্দ ছিল এক শতাংশ আসন। 


তবে এবার  আন্দোলনের মুখে পড়ে এক ধাক্কায় পঞ্চাশ শতাংশ সংরক্ষণই বাতিল  করে দেয় হাসিনার সরকার।   কিন্তু এরপর দুহাজার এক সালে মুক্তি  যােদ্ধার পরিবারেরা পাল্টাকে স্কুল বাংলাদেশের হাইকোর্ট জানায়  সরকারের সিদ্বান্ত অবৈধ, আর তারপরেই শুরু হয় নতুন আন্দোলন।  যার  ফলাফল আর সবার সামনে. তবে আমাদের আশা এটুকুই, চলতে থাকা  বাংলাদেশে খুব শীষ্র্রই শান্তি ফিরে আসুক।  আবারাে সুস্থ হয়ে উঠুক বাংলাদেশ। 


ভারত নিউজ 

*

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post